বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী/উগ্রপন্থী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গী/উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গী/উগ্রপন্থীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।
র্যাব-৮ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ ০৭.১০ ঘটিকার সময় ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ১ জন এবং ১৩.৩০ ঘটিকার সময় ডিএমপি ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে ১ জন সহ মোট ২ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্যরা হলেনঃ
(ক) মোঃ ইয়াসিন আহমেদ(২৬), পিতা-মোঃ ইসমাইল খান, সাং-চাপুরইর, পোঃ ভাতসালা, থানা ও জেলা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া, বর্তমানে- বাসা নং-৪/৬, শহীদ সলিমউল্লাহ রোড, মোহাম্মদপুর, ডিএমপি, ঢাকা।
(খ) মোঃ মোসাহেদ খান মিশু(৩০), পিতা- মোঃ মঈন উদ্দিন খান, সাং-হামানপদ্দি, পোঃ শাহাতলী বাজার, ইউপি-মহিশাদী, থানা ও জেলা-চাঁদপুর, বর্তমানে- বাসা নং-৪৭, রোড নং-৯, পিসি কালচার হাউজিং, শেখেরটেক, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ডিএমপি, ঢাকা।
আটককৃত আসামী মোঃ ইয়াসিন আহমেদ এবং মোঃ মোসাহেদ খান মিশু দ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবি’র দাওয়াতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করে এবং দাওয়াতি কাজ পরিচালনার জন্য ঢাকা, মাদারীপুর, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোপন মিটিং, লিফলেট বিতরণ, অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফরমে জঙ্গি তৎপরতা চালনার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করত বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। তারা বেশ কিছু বছর ধরে জেএমবি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও চাঁদা সংগ্রহ করত বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদেও ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থী কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।